প্রতিবেদনে জেরে সংবাদ কর্মীদের অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় বা সাসপেন্ড করেছে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম টুইটার। এর প্রতিক্রিয়ায় টুইটারের কার্যক্রমে নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাতিসংঘ। খবর বিবিসির।
নিউইয়র্ক টাইস, সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্টসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ কর্মীদের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করছে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ইলন মাস্কের মালিকানাধীন টুইটার।
অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করার পেছনে ইলন মাস্কের হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ থেকে এক টুইট বার্তায় বলা হয়, ‘সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা কোনো খেলনা নয়। ’ অন্যদিকে টুইটারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা বলছে ইইউ।
সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করার বিষয়ে টুইটারের মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিবিষয়ক এক ওয়েবসাইটকে বলেন, ‘ব্যক্তির অবস্থান সম্পর্কিত বিষয়ের সঙ্গে সাসপেন্ড হওয়া অ্যাকাউন্টগুলো জড়িত। ’
জাতিসংঘের যোগাযোগ বিষয়ক সংস্থার আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মেলিসা ফ্লেমিং বলেছেন, ‘টুইটারের কার্যকলাপে আমি বিরক্ত। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কোনো খেলনা নয়। গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তিপ্রস্তর গণমাধ্যম। ক্ষতিকারক বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি প্রধান হাতিয়ার এটি। ’
এর আগে শুক্রবার ইইউ কমিশনার ভেরা জোরোভা টুইটার কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে বলেন, ‘ইউরোপের নতুন ডিজিটাল আইন অনুযায়ী, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকারে সম্মান প্রয়োজন। বিষয়টা ইলন মাস্কের জানা প্রয়োজন। লাল রেখা অতিক্রম করলেই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। ’
সংবাদ কর্মীদের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা নিয়ে এখনও মুখ খুলেননি ইলন। তবে এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘সারাদিন আমার সমালোচনা করো ঠিক আছে, তবে আমার অবস্থান ও পরিবারকে কেন ঝুঁকিতে ফেলছো। সাংবাদিক ছাড়াও সকল মানুষের জন্য বিষয়টি প্রযোজ্যকর। ’
তবে পরে আরেকটি টুইট করেন মাস্ক। যেখানে তিনি সাসপেন্ড করা অ্যাকাউন্টগুলো ফেরত দেওয়া যায় কি না এ নিয়ে দুটি পুল ক্রিয়েট করেন।
গত অক্টোবরে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দিয়ে টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। এরপর থেকেই টুইটার নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেন মাস্ক। এমনকি অনেক পদক্ষেপ নিয়েও ইউটার্ন দেন তিনি। এতে করে নিজের ব্যান্ড ভ্যালু কমিয়ে দেনে তিনি। ফলে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তকমা হারিয়েছেন এই ধনকুবের।